,

ড. কামাল‌কে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবা‌দিক‌দের

বিডিনিউজ ১০ রিপোর্ট: মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ক‌রে‌ছেন উল্লেখ করে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে সাংবাদিকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শ‌নিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

এছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা। এ ছাড়া মঙ্গলবার সারাদেশে বিএফইউজের অঙ্গসংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।

বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন- ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজে যুগ্ম-মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ ড. কামাল হোসেন জামায়াতের কাছ থেকে কত টাকা খেয়ে তাদের পক্ষে ওকালতি করছেন।’ আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ বক্তব্যের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ভোটারদের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা। এসময় যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের ওপর চটে গিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্ন করতে? চিনে রাখবো। কত পয়সা দিয়েছে? চুপ করো, খামোশ।’

শনিবার সকালে ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিও পাঠান তিনি। তার স্বাক্ষরযুক্ত ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মৃতি সৌধের বেদিতে দাড়িয়ে আমি বলেছিলাম, আমরা কত মেধাবী সন্তানদের হারিয়ে তবে স্বাধীনতা পেয়েছি। তখন হঠাৎ করে বেদিতেই আমার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো। আমি তাৎক্ষণিক সবিনয়ে বলি, আজকে এই দিনে, যেখানে আমাদের গভীর অনুভূতির বিষয়, এই বিষয়ে এখানে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। পুনরায় একই প্রশ্ন তুললে আমি একই মনোভাব ব্যক্ত করি। কিন্তু তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্য থেকে কোথাও অনবরত দুই থেকে তিনবার আমি শুধু ‘জামাত জামাত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকে, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

এই বিভাগের আরও খবর